নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রণি আক্তার তানিয়া, একজন গৃহিণী, তিনি বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের রত্মপুর গ্রামের মোহাম্মদ হাশেম এর মেয়ে, তার বসবাস নগরীর এক কিলোমিটার এলাকায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সংসার পরিচালনায় কষ্ট হওয়ায় চাকরির সিদ্ধান্ত নেন তানিয়া, পরে অবশ্য জানুয়ারি থেকে তিন হাজার টাকা বেতনে দুদকের সাবেক উপ- পরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে চাকরি হয় তার। প্রথম দুই মাস বেতন ঠিক মতো দিলেও মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত তার বেতন দেয়া বন্ধ করে দেয় শহীদুল্লাহ। তাই অসহায় তানিয়া ১২ আগস্ট টাকা চাইলে ওই সপ্তাহের মধ্যে টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন বাড়ির কর্তা শহীদুল্লাহ। একই সঙ্গে তার ভবনের নিচতলায় থাকার ব্যবস্থা করে দিবেন বলেও জানান। প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা না দেওয়ায় ২৩ আগস্ট সকালে আবার টাকা চাইতে যান ওই নারী। এ সময় শহীদুল্লার স্ত্রী তাকে রাতে যেতে বলেন। রাতে টাকার জন্য গেলে শহীদুল্লাহ জানতে চান, কেন রাতে গেছেন। তিনি কাউকে রাতে টাকা দেন না। এ সময় তানিয়া তার মেয়ের জন্য দুধ কিনতে হবে, তাই টাকা ছাড়া যাবেন না জানালে শহীদুল্লাহ তাকে চড়- থাপ্পড় মারেন এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এক পর্যায়ে তার নির্দেশে তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ার তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন এবং বাসা থেকে বের করে দেন। তারপর তার সাথে পরিচয় হয় দু- চারজন সমাজ কর্মী। সেই সমাজ কর্মীদের সহযোগিতায় তিনি চাঁন্দগাও থানায় একটি মামলা দায়ের করতে যান। কিন্তু থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বর্ণিত ঘটনা মামলা যোগ্য নয় মর্মে মামলা নিতে অসম্মতি জানান। কিন্তু ভুক্তভোগী তানিয়া ও সমাজ কর্মীগণ নাছোড়বান্দা! ন্যায়বিচার তাদের পেতেই হবে। তাই দারস্ত হলেন আদালতের।

Leave a Reply